রিকেটস কিসের অভাবে হয়-রিকেটস রোগের প্রতিকার


প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আপনারা আজকের এই পোষ্টে জানতে পারবেন রিকেটস কিসের অভাবে হয় -রিকেটস রোগের প্রতিকার সম্পর্কে। আপনারা যদি জানতে আগ্রহী হোন রিকেটস রোগ সম্পর্কে তাহলে আজকের এই পোষ্টটি আপনার জন‌্য।
রিকেটস কিসের অভাবে হয়-রিকেটস রোগের প্রতিকার
পাঠক রিকেটস রোগ অনেক ভয়ঙ্কর রোগ বিশেষ করে শিশু দের জন‌্য। আপনি আমাদের আজকের এই পোষ্টটি পুরো পুরি পড়ুন ইনশাআল্লাহ আপনি এই পোষ্ট পড়ে রিকেটস রোগ রোগ সম্পর্কে নানা তথ‌্য জানবে। তাই ‍প্রিয় পাঠক আপনাকে বলি আজকে আমাদের এই পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।

ভূমিকা

রিকেটস রোগ প্রায় সকলেই এই রোগের সম্পর্কে জানেন। এটি একটি ভয়ঙ্কর রোগ। মূলত এই রোগটি নবজাতক ও শিশুদের মধ‌্যে দেখা মেলে। এই রোগটি বিশেষ করে মায়ের দুধ পান করা শিশুর হয়। এর জন‌্য একটি শিশুর শরীরে সঠিক সময় সঠিক বিকাশ সম্পূর্ণ হয় না।

এই রোগটি একটি একটি শিশুর জীবন নষ্ট করে দেয়। আমাদের এই পোষ্টে আপনারা এই রোগের হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তাই আপনারা আমাদের এই পোষ্টটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

রিকেটস রোগ কি

রিকেটস রোগ মূলত শিশুদের মধ্যে দেখা মেলে। এ রোগ এক প্রকার হাড়ের অসুখ। যা এর জন্য শিশুদের হারে বিকাশ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হয় না। এবং এর ফলে হাড়ের ব্যথা অনুভূতি হয় আর স্বল্পবৃদ্ধি হয়। এমনকি মেরুদন্ড নরম ও দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে সে রিকেটস রোগের রোগী তার অনেক কষ্ট অনুভব হয়। যার জন্য মেরুদন্ডের বিকৃতি দেখা দেয়।

কাদের মধ্যে রিকেটস রোগের ঝুঁকি বেশি

মূলত রিকেটস রোগ নবজাতক আর শিশুদের মধ‌্যে সবচেয়ে বেশি এই রোগ দেখা যায়। বিশেষ করে মায়ের দুধ পান করার মাধ‌্যমে। বিশেষ একটি জিনিস আপনাদের মনে রাখতে হবে যে স্তন‌্যদাত্রী মাতার যদি পযাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি না পান করলে তাহলে সে ক্ষেত্রে সেই মায়ের স্তন পান করার মাধ‌্যমে শিশুর যদি পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

স্তন‌্যপায়ী শিশু যারা সঠিক পরিমানে সূর্যের আলো পাইনা তাদের উপর রিকেটস রোগ হওয়ার ঝুকি থাকে। বয়স প্রাপ্ত মানুষের এই রোগ হওয়ার ও ঝুকিপূর্ণ হয়ে থাকে। যেসব শিশুর ভিটামিন ডি এর অভাবে বিশেষ করে শিশুরা রিকেটস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

রিকেটস রোগ কিসের অভাবে হয়

রিকেটস রোগ হয়ে থাকে ভিটামিন ডি এর অভাবে এটি শিশুদের মাঝে দেখা দেয়। এই রোগের রোগীর মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যায়।আর এ যথায়থ পুষ্টি না পেলে হাড় মজবুব হয় না ।এই রিকেটস রোগী ধনুকের মতো বেঁকে যায়। মাথার খুলি বড় হয়ে যায়। দৈনন্দিন জীবনে অনেক অসুবিধা ঘটে এবং চলাফেরা ব্যাঘাত ঘটে। দীর্ঘদিন যাবত এ রোগের ভুগলে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত ঘটে।
চিকিৎসা না করালে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায় ।এবং কি ভিটামিন ডি এর অভাবে অসময়ে দাঁত পড়ে যায় চোয়াল গঠন ঠিক হয়না এমনকি শিশুরা স্বাভাবিক লম্বা হতে পারে না। এমনকি ধীরে ধীরে পা দুর্বল হয়ে যায় এবং হাতের উপর ভর করে চলতে হয়।

রিকেটস রোগের লক্ষন

রিকেটস রোগ বিশেষ করে শিশুদের এই রোগ টি হয় । রিকেটস রোগ শিশুদের জন‌্য খুবই ক্ষতি কর।

আপনার শিশুর রিকেটস রোগ হয়েছে না হয় নি । তা জানানোর জন‌্য রিকেটস রোগের লক্ষন গুলো নিচে দেওয়া হলোঃ

  • বাহু, পা, শ্রেণীদেশ এবং মেরুদন্ডে হারে প্রচন্ড ব্যথা ও কোমলতা অনুভব করা
  • আপনার শিশুর শরীরের ভিত্তি বা উচ্চতা ছোট আকারের সীমাবদ্ধ থাকা।
  • যদি কোন তার নরম হার থেকে থাকে তাহলে সেই হার খুবই সহজে ভেঙে যায়।
  • আপনার শিশুর হাড়ের বৃদ্ধি খুব দেরিতে হয় এবং পায়ের ধনুকiআকৃতি হওয়া।
  • যদি আপনার শিশুর চওড়া কপাল এবং বিশালাকৃতির পেট থাকে।
  • যদি আপনার শিশুর দাঁতের বিকৃতি থাকে এবং তার মধ্যে দাঁত উঠতে দেরি হয় এবং ছিদ্র। এলোমেলো হওয়া দাতের গঠনে ত্রুটি হওয়া এবং দাঁতের গহরের সংখ্যা বৃদ্ধি।
  • যদি আপনার কঙ্কালের বিকৃতি থাকে তাহলে যেমন আপনার মাথার খুলি অদ্ভুত আকৃতি ধারণ করে এবং আপনার পাঁজরে ফোলা অংশ বা ওইখানের টনের হার বাকা এবং আপনার মেরুদণ্ড বাঁকা থাকো।
প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই এখন জানতে পেরেছেন রিকেটস রোগ হওয়ার কয়েকটি লক্ষণ আপনার বাবার বা আপনার অথবা আপনার শিশুর মধ্যে যদি এ লক্ষণ গুলো দেখেন তাহলে খুব দ্রুত আপনারা ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করুন এরকম লক্ষণ দেখলে রিকেটস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই থাকে তাই এই লক্ষণগুলো মিলিয়ে মিলিয়ে আপনার চেক করবেন

রিকেটস রোগের প্রতিকার

এটি চিকিৎসার উপনির্ভর করে যদি ভিটামিন-ডি ঘাড়টি হয় তাহলে চিকিৎসা হলো সচারচর ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম দিয়ে। এবং এর ফল সাধারণভাবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যায়। মেরুদন্ডর বৈকল্য ও সময় বিশেষ ভালো হয়ে যাই।

রিকেটস ও অস্টিওম‌্যালেসিয়া পার্থক‌্য

রিকেটস রোগ এর কারণে শিশুর শিশুর নরম করে ও দুর্বল হয়ে পড়ে। এসবের ফলে শিশুর বা ধনুকের মতন বেঁকে যায়। এর ফলে হারে বিকৃতি হতে পারে। এই রোগ দীর্ঘকাল ধরে ভিটামিন ডি এর অভাবের কারণে এ রোগটি হয়ে থাকে। সূত্রে রিকেটের সমস্যাটি শিশুদের মধ্যে চলে আসছে। অস্টিওম্যালেসিয়া এ রোগটি শরীরের মেরুদন্ডকে নরম করে দেয়।

এক্ষেত্রে মূল কারণ হলো। ভিটামিন ডি এর অভাবে সব রোগ দেখা দেয় খনিজ উপাদান ও ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শরীরের মেরুদন্ড ঠিকমতন গঠন করতে পারেনা। এবং মেরুদন্ডের ক্যালসিয়াম ফসফরাস কম থাকলে মেরুদন্ড নরম হয়।
রিকেটস রোগ ও অস্টিম্যালেসিয়ার পার্থক্য হচ্ছে যে রিকেটস রোগ শিশুদের মধ্যে তাদের পায়ের মেরুদন্ড ধনুকের মতন বেঁকিয়ে দেয়। এবং মাথার খুলি বড় হ। আর অস্টিমেলিশিয়া শরীরের মেরুদন্ড নরম হয়।

রিকেটস রোগের নিরাময়

রিকেটস রোগ প্রতিরোধ করার জন্য নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার শিশু যেন প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করে। যেমন চর্বিযুক্ত মাছ ডিমের কুসুম তুলা মাছের তেল কড লিভার অয়েল দুধ রুটি কমলার রস সিরিল ইত্যাদি । রশ্মি চিকিৎসাতত্ত্ব আর ঔষধ প্রমাণিত হয়েছে।

শিশুদের জন্য দিনে ভিটামিন ডি এর ৪০০ আন্তর্জাতিক একক সমূহ আইইউ সুপারিশ করা হয়েছে। যেসব শিশুরা পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি সঠিক রিকেট রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

রিকেটস রোগ থেকে সুস্থ হতে কতদিন লাগে

আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন রিকেটস রোগ থেকে সুস্থ হতে কতদিন লাগে। এটি বোঝা যাবে আপনার সন্তানের অবস্থানও রোগের মাত্রা দেখে। পুষ্টি জনিত রোগ রিকেটস সপ্তাহ বা মাসের মধ‌্যে করা যেতে পারে। আপনার সন্তানের ব‌্যাথা দুর্বলতা মতো প্রায় সব গুলো কয়েক সপ্তাহের মধ‌্যে উন্নত করার চেষ্টা করতে হবে। যত তাড়া তাড়ি ভিটামিন ডি এর অভাব দূর করা।
আপনার সন্তানের যত বেশি রোগ প্রতিরোধ এর ক্ষমতা থাকবে তত তাড়াতাড়ি আপনার সন্তান সুসথ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

লেখকের মন্তব‌্য

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয় জানতে পেরেছেন এই ভয়ং্কর রিকেটস রোগ সম্পর্কে। আমরা সর্বচ্চো চেষ্টা দিয়ে আপনাদের এই রিকেটস রোগ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক আপনারা শিশুর উপর খেয়াল রাখবেন। এই রোগটি আপনার শিশুর জন‌্য এই রোগটি অনেক ভয়ঙ্কর।


সম্মানিত পাঠক আপনার যদি আমাদের আজকের এই পোষ্টটি ভালো লাগে তা অবশ‌্যই জানাবে এবং আপনাদের আত্মীয়, স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধব এর মাঝে বেশি বেশি শেয়ার করবেন। আজ আর নয় সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url