কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আজকে আমাদের এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেনকলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। প্রিয় পাঠক এ সম্পর্কে আপনি যদি জানতে আগ্রহী হন তাহলে আজকের এই পোস্টটি। আপনার জন্য আশা করি আমাদের এই পোস্টটি পুরোপুরি করবেন।

প্রিয় পাঠক আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনারা যদি এ সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা নিতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি পুরোপুরি পড়ুন আশা করি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা ভালো লাগবে এবং আপনি উপকৃত হবেন। আমাদের পোস্টটি পুরোপুরন আপনার ক্লিয়ার ধারণা চলে আসবে আমাদের এই কলার ব্যাপারে। চলুন বিস্তারিত।

কলা খাওয়ার গুরুত্ব। কলা হলো একটি ১২ মাসের ফল। আমরা অনেকেই জানি আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে করার কলার পুষ্টিগুণ অনেক। আমরা সকলে কলা খেয়েছি। কলা একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। কলার মধ্যে অনেক পুষ্টি এবং ভিটামিন রয়েছে। যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কলা আমাদের শরীরের হাড় শক্ত করে আমাদের পেটের ব্যাথা থাকলে তা থেকে মুক্তি দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে কিডনি ভালো লাগে আরো ইত্যাদি। 

কলা আমাদের সকলেরই খাওয়া উচিত। আবার যাদের দৃষ্টি শক্তির একটু সমস্যা রয়েছে তারা কলা খেলে তাদের দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয় রক্তশূন্যতা রোধ করে আরো অনেক কিছু তাই আমাদের সকলেরই উচিত প্রতিদিন কলা খাওয়া এবং আপনার বাচ্চারা থাকলে তাদের কলা খাওয়ানো।

শিশুদের কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। গলার ভিতরে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা একটি শিশুর পেট অনেকক্ষণ ধরে ভরতি রাখতে সাহায্য করে। কলাতে থাকা ফাইবার শিশুদের পেট পরিষ্কার করাতেও সাহায্য করে। কলা খেলে শিশুদের হজম শক্তি বেড়ে যায় এবং যাদের শিশুদের পেটে হজম শক্তি হওয়া সমস্যা রয়েছে তারা তাদের শিশুকে কলা খাওয়াবেন। 

তাহলে আপনার শিশুর হজম শক্তির সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কলা খাওয়ার কারণে শিশুদের হাড় মজবুত হয়। শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধি করে আরো ইত্যাদি ধরনের শক্তি বাড়ে। আমাদের সকলেরই উচিত আমাদের শিশুদের প্রায় কলা খাওয়ানো। কলা খাওয়ালে একটি শিশু উচ্চতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে তার শারীরিক বিকাশ পর্যন্ত তা বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।

কলা হলে একটি বারো মাসে ফল। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কলা কত প্রকার ও কি কি। সাধারণত কলার বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি ভিত্তির উপরে কলা প্রধানত চার প্রকার যেমন :

• যোজক কলা
• আবরণী কলা
• পেশি কলা
• স্নায়ু কলা

এই চার ধরনের করার মধ্যে আপনারা যে কোন একটি কলা খেতে পারেন। আমাদের আশেপাশের দোকান বা বাজার থেকে এরকম কলা আমরা ক্রয় করে খেতে পারি।

আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কোন কলা সবথেকে উপকারী। আমাদের দেশী কলার ভিতরে সবরি চম্পা বাংলা কলা, সাগর কলা এরকম নাম শোনা যায়। এর মধ্যে আমাদের দেশের মানুষ জানে সবরি কলা খাওয়ায় ভালো। কিন্তু সব রকমের কলাই খাওয়াই ভালো। আপনারা চাইলে পাকা কলা খেতে পারেন পাকা কলায় সব থেকে উপকারী কলা খাওয়ার কারণে আপনার হজম শক্তি বেড়ে যায় এবং এতে রয়েছে উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, ইত্যাদি যা আমাদের পেটের হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়। 

পাকা কলা কিছু পরিস্থিতি ক্ষতিকারক হতে পারে। কারণ পাকা কলার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

কলা একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত। সাধারণত দিনে সর্বনিম্ন এক থেকে দুটি কলা খেলে হবে এর কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। কলাই রয়েছে দ্রবণীয় ফাইবার ইত্যাদি এবং এর মধ‌্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং কম পরিমাণে পানি থাকে। কিন্তু প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে পারে। তাই অতিরিক্ত কলা রাখে পরিবার মতন কলা খাবেন।

কলায় একটি প্রাকৃতিক ফল এবং আমরা এটি পুরো বছরই খেতে পারি। এটি আমরা আমাদের পার্শ্ববর্তী দোকান অথবা বাজার থেকে কিনে এনে খেতে পারে। পড়াতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে দেয়া হল

• কলা খেলে আপনার পেটের হজম শক্তি বাড়ে।
• কলাতে ফাইবার থাকার কারণে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।
• আপনার পেটের ক্ষুধা দূর করতে কলা খান তাহলে আপনার অল্প সময়ে পেটের ক্ষুধা নিবারণ হবে।
• কলায় রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
• কলা খেলে আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং শারীরিক বৃদ্ধি হচ্ছে সাহায্যকারী।
• কলাতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম সাতাশ শতাংশ পর্যন্ত আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
• কলা খেলে আপনার ত্বক এবং চুল সুস্থ থাকে।
• কলা খেলে আপনার শরীরের হাড় মজবুত হবে এবং শক্তিশালী হবে। 

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। প্রতিদিন যদি আপনি পাকা কলা খান তাহলে আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করবে। আবার পাকা কলা খেলে আপনার শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি হবে এবং নানা সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।পাকা ক পাকা কলা মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার যা আপনার শরীরের নষ্ট হওয়া কোষ রোধ করতে সাহায্য করে। 

এবং আপনাদের সন্তানের শারীরিক বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে এই কলার মধ্যে। তাই আপনারা এবং আপনার সন্তান প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি পাকাকলা খাবেন।

দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা। দুধ কলা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাই অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে দুধ কলা একসঙ্গে ক্ষর উপকারিতা কি। দুধ কলা দুটোই কখনো খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। বিশ্লেষক্তের মতে দুধ কলা একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।। কারণ দুধ এবং করার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন উপাদান রয়েছে। তাই আপনাদের উচিত দুধ কলা একসঙ্গে না খাওয়া। 

কারণ এ দুইটির উপাদান মিলে একটি বিষাক্ত উপাদান সৃষ্টি হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না এবং স্বাস্থ্যের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু আপনি চাইলে দুধ খাওয়ার বিশ মিনিট পর একটি কলা খেতে পারবেন। আপনি দুধ এবং করা একসঙ্গে না খেতে পারলেও দই এবং করা একসঙ্গে খেতে পারবেন। তাই বলা যাচ্ছে আপনি কলা এবং দুধ একসঙ্গে খাবেন না না হলে আপনার শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। খালি পেটে কাঁঠালি কলা খাওয়া শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। । বিশেষ করে আপনি যদি খালি পেটে সিঙ্গাপুরের জায়গার কাঁঠালি কলা খান তাহলে আরোই ভালো। আপনি যদি কাঁঠালি কলা খেয়ে দিন শুরু করেন তাহলে আপনার পেটে খিদে খুব কম লাগবে তাতে আপনার অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে মন চায় না। কাঁঠালি কলা খেলে আপনার শরীরের নানান ক্ষতির আশঙ্কা দূর হবে।

কলা খাওয়ারর অপকারিতা রয়েছে। যাদের জন্য কলা খাওয়া মানা তাদের নিদ্রার সমস্যা হতে পারে। এমনকি আপনার পেটে গ্যাস স্টিকও হতে পারে আবার আপনার ঠান্ডা লেগে থাকলে কলা তো খাওয়া যাবে না তাহলে আপনার আরো ঠান্ডা প্রবণতা বেড়ে যাবে। বেশি পরিমাণে কলা খেলে আমাদের শরীরে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেড়ে যায় এবং আমরা অসুস্থ এবং জ্বর থেকে শুরু করে সর্দি পর্যন্ত হতে পারে তা্তিই অতিরিক্ত কলা খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে এই কলা সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে পেরেছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক আমাদের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আমাদের এই পোস্টটিতে আপনার মূল্যবান মতামতটি জানিয়ে যাবেন এবং। আপনার আশেপাশে বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে আমাদের এই পোস্টটি শেয়ার করুন। আজ আর নয় আশা করি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।