অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন ২০২৪

আপনি কি অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন তৈরি করা নিয়ে চিন্তিত। তাহলে আর চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য দেবার চেষ্টা করেছি যাতে করে আপনি থেকে একটি ভালো ধারণা পেতে পারেন।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে প্রবাসে জীবন যাপন করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মানুষ বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়া কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। কারণ অস্ট্রেলিয়া যে কোন কাজের পারিশ্রমিক খুব ভালো পরিমাণে দিয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এই সকল বিষয়ে কথা বলব তাই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

প্রিয় বন্ধুরা আপনি কি অস্ট্রেলিয়ায় ভিসা আবেদন করার জন্য ভাবছেন। তাহলে আর কোন চিন্তা দরকার নাই কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি অস্ট্রেলিয়া কোন কাজে চাহিদা বেশি কারণ আপনি যদি না জানেন অস্ট্রেলিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি।

এবং কোন কাজের পারিশ্রমিকও বেশি। এবং অস্ট্রেলিয়ার কাজের বেতন কত এই সকল সম্বন্ধে। এবং আমরা আজকের এই আর্টিকেলে কথা বলেছি অস্ট্রেলিয়ান ভিসার দাম কত ।

বর্তমান সময়ে আগের থেকে খুব দ্রুত এবং কম সময়ে ভিসা পাওয়া সম্ভব। বর্তমান সময়ে ভিসার জন্য অনেক রকম নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসার আবেদন করতে পারবেন। অথবা আপনারা চাইলে সরাসরি অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস থেকে ভিসার আবেদন করতে পারেন।

এই নিয়ে ভিসা আবেদন করার মোট দুইটি প্রক্রিয়া রয়েছে। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করে। তাই আপনি চাইলেও ঘরে বসে বা আপনার এলাকার কম্পিউটারের দোকানের গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার আবেদন করতে পারেন।

অস্ট্রেলিয়ান কাজের ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্টস নিয়ে যেতে হবে।

আমরা অনেকে আছি যারা অস্ট্রেলিয়ার ভিসার আবেদন করতে চায়। অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে যে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র লাগবে। অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে তা নিচে দেওয়া হলঃ

• সর্বপ্রথম আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট দরকার পড়বে।
• অস্ট্রেলিয়ান কাজের ভিসা আবেদন করতে হলে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন পড়বে।
• আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) দরকার পড়বে.
• আপনার একটি মেডিকেল রিপোর্ট থাকতে হবে.
• এবং আপনি বা যিনি এই ভিসার আবেদন করবেন তার ব্যাংক ট্রিটমেন্ট এর দরকার পড়বে.
• অস্ট্রেলিয়ান কাজের ভিসা আবেদন করতে হলে আপনারা আবার করোনার টিকার কার্ড লাগতে পারে.তাছাড়াও আরো অনেক রকম ডকুমেন্টস লাগতে পারে । সেইগুলো জেনে নিবেন এবং সময়মতো সেগুলো নিয়ে তারপরে ভিসার আবেদন করবেন।

অনলাইনে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার আবেদন করার নিয়ম

বর্তমান সময়ে আপনারা চাইলে ঘরে বসে কিংবা আপনার এলাকার কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে নিচে দেওয়া হলঃ

প্রথমে আপনাকে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদন করার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে তার জন্য গুগলে গিয়ে আপনি সার্চ করবেন Working in Australia Immigration and citizenship এবং চার্জ দেওয়ার পর চার নম্বর রেংকিংয়ে যে ওয়েবসাইটে আসবে সেই ওয়েবসাইটটি তে প্রবেশ করুন।

প্রবেশ করার পর কিছুটা এরকম ইন্টারফেস আসবে এবং অনেকগুলো অপশন আসবে। আপনি যে ধরনের কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়া যেতে চান সেই কাজের উপর ক্লিক করুন। একটি কথা সেটি হলো আপনি যদি সেটি হল আপনি যদি "Temporary Work Visa" আবেদন করেন তাহলে খুব সহজেই এই অস্ট্রেলিয়ান কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।

এর ভিতরে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট সকল তথ্য এবং ডকুমেন্ট আপলোড করে আবেদন করে নিবেন। আমরা আমাদের এই পোস্টে অস্ট্রেলিয়ান কাজের ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে এ সম্পর্কে জানিয়েছি। সেগুলো জেনে এবং তার ওয়েবসাইটে আপনার যেগুলো ডকুমেন্টস চাইছে সেগুলো দিয়ে সম্পূর্ণভাবে আবেদনটি করে নিবেন।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের মানুষগুলো অনেক বাংলাদেশী রয়েছে যারা অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চাই। বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই কাজের উদ্দে শ্যেপ্রবাস জীবন বেছে নিচ্ছে। তাই তারা বিভিন্ন দেশগুলোতে কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে এবং সেখানে গিয়ে তারা প্রবাস জীবন কাটাচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দেশ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া কারণ অস্ট্রেলিয়া তে কাজের চাহিদা অনেক বেশি।

আমরা আজকের এই আর্টিকেলে অস্ট্রেলিয়া কাজের কোন চাহিদা বেশি এগুলো সম্পর্কে বলব নিচের নিম্নলিখিত গুলোতে

• ক্লিনার বা পরিষ্কার পরিছন্নতা কর্মী
• আর কৃষি কাজ
• হোটেল অথবা হোটেল বয়
• গবাদি পশু পালনের কাজ
• কোয়ালিটি ম্যানেজার
• ওয়েব ডিজাইনিং
• মেকানিক্যাল
• ড্রাইভার
• লেবার
• কন্সট্রাকশন
• ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি
• ইলেকট্রিশিয়ান
• ফুড প্যাকেজিং
• ভার্টিকালচার

উপরের উল্লক্ষিত কাজগুলো বর্তমান সময়ে অস্ট্রেলিয়াতে কাজের চাহিদা বেশি। এবং আপনি চাইলে এই কাজ এর ভিসা তৈরি করে আপনি অস্ট্রেলিয়া তে গিয়ে আপনার কাঙ্ক্ষিত কাজটি করতে পারেন।

আপনি কি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চাচ্ছেন । তাহলে আপনাকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে হবে এবং সেটি করার জন্য আপনাকে প্রথমে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন সে সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিতে হবে। কারণ আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন।

যারা জানেন না যে সঠিক ভাবো কিংবা সঠিক নিয়মে অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং সেটি ভালোভাবে না জানলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনার সুবিধার্থে অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন সে বিষয়ে নিচের আলোকে কথা বলব।

• প্রথমে আপনার কাছে থাকা লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
• কাজের ভিসা কেউ যেতে চাইলে তার সর্বনিম্ন বয়স থাকতে হবে ১৮ আর সর্বোচ্চ বয়স থাকা লাগবে ৪৫ বছরের মধ্যে।
• আর সত্য তোলা চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং সেটি হওয়া লাগবে রঙ্গিন আর এর ব্যাকগ্রাউন্ড কালার হবে সাদা।
• আর তার সাথে বৈধ পাসপোর্ট এবং তার Passport Validity কমপক্ষে এক বছর হওয়া লাগবে।
• এবং অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ভিসার জন্য আপনাকে একটি সিভি দরকার পড়বে বা জব অফার লেটার।
• এবং ভিসা
• এবং ইংরেজি ভাষায় থাকা লাগবে দক্ষতার সার্টিফিকেট
• তার সাথে থাকা লাগবে স্বাস্থ্য বীমা
• আর তার সাথে ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন পড়বে।
• এবং থাকা লাগবে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট প্রয়োজন পড়বে।
• আর আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে IELTS এর স্কোর ৬ থাকা লাগবে।
• পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
• আর কোভিড ১৯ এর টিকা কাড প্রয়োজন পড়বে।

বর্তমানে এই উপরে লেখা স্টেপ গুলির দিয়ে আপনার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আশা করছি এগুলো থেকে আপনি উপকৃত হবেন।

অস্ট্রেলিয়া কাজের বেতন কত ২০২৪। বাংলাদেশের অনেক শ্রমিকই বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়ায় যাই কিংবা যেতে চাই। কারণ অস্ট্রেলিয়ায় যেকোনো কাজ করে খুব কম পরিশ্রম করে বেশি কিংবা ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যায়। এবং সেখানে যাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার কারণ বাংলাদেশের অনেক শ্রমিকই আছে যারা সেখানে গিয়ে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় ।

তাই তারা সেখানে গিয়ে কোন কাজ পেতে অনেক সমস্যার মধ্যে সম্মুখীন হয়। এইজন্য আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কিংবা আপনারা কাঙ্খিত অভিজ্ঞতা বা কাজের বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে তাহলে আপনি সেখানে গিয়ে সেই শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী নির্ধারণ করে বেতন দেয়। এবং অস্ট্রেলিয়ায় মেকানিকাল, ইলেকট্রিক্যা, পোশাক কারখান, ক্লিনা, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি এসব কাজ করে ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়।

এছাড়া ও উন্নত মানের কোম্পানি কাজ করে ও কোম্পানিতে কম্পিউটারের কাজ করলে মাসে এক লাখ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন দিয়ে থাকে। এবং কৃষি কাজের জন্য বেতন দিয়ে থাকে ৬০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার মতন এবং অস্ট্রেলিয়াতে লেবারদের কাজের বেতন দিয়ে থাকে ৪০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতন।

আপনারা যারা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে কাজের জন্য চিন্তা করছেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে অস্ট্রেলিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি আপনি চাইলে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে কৃষিকাজ করতে পারেন এর জন্য আপনাকে কৃষি কাজের ওপর দক্ষতা থাকতে হবে এবং এই কৃষি কাজের জন্য আপনাকে প্রায় ৪০ থেকে ৬০হাজার টাকা মধ্যে বেতন হবে।

আবার আপনি এদিকে কোন কোম্পানি অথবা ফার্মের কাজ করলে ৬০ হাজার টাকার মতন বেতন প্রদান করা হতে পারে ।এবং এর সাথে পার্ট টাইম জবের জন্য আপনাকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।

বর্তমান সময়ে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা চালু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে অনেক মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাই । যারা বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে চায় এবং অস্ট্রেলিয়া ভিসা করতে চায় তাহলে তাকে সর্বপ্রথম জেনে নিতে হবে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার দাম কত সে বিষয়ে। বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য ভিসার খরচ পড়বে।

দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা আর আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান।তাহলে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার খরচ পড়বে তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মতন। মূল কথা হচ্ছে সম্পূর্ণ আপনার ভিসার ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করবে। সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ .১২ লক্ষ টাকার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যাবে। কারন আপনাকে ভিসা তৈরি করলে।

এবং এর পাশাপাশি পাসপোর্ট তৈরি তৈরি করা লাগবে। আর তার সাথে ফ্লাইটের বিমান ভাড়া দিতে হবে। এই সব মিলিয়েই আপনার প্রায় ৫ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মতন দরবার হতে পারে।

তো বন্ধুরা এতক্ষণে আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন অস্ট্রেলিয়ান ভিসা কিভাবে আবেদন করব এবং অস্ট্রেলিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি এ বিষয়টি জানার পর হয়তো আপনাকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না এবং আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ার পর সেটি আপনার কাজে লেগে থাকলে আপনি আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমাদেরকে জানাবেন।

এবং যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সে বিষয়ে আমাদেরকে জানাবেন যাতে করে আমরা আরো নিখুঁত ভাবো আর্টিকেল দিতে পারি। এবং আজকের এই আর্টিকেল দিয়ে আপনাকে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিতদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। এবং আরো এরকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ফলো করুন।আল্লাহ হাফেজ