প্রতিদিন চা খেলে কি হয় এবং উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রতিদিন চা খেতে ভালোবাসেন কিংবা চা খাওয়ার অপকারিতা ও অপকারিতা কি তারা জানতে আগ্রহী এবং আপনি জানতে চাচ্ছেন যে প্রতিদিন চা খেলে কি হয়। সে বিষয়টি নিয়ে তাহলে আর চিন্তার কোন বিষয় নেই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এই সকল বিষয় নিয়ে কথা বলব।
এবং চায়ের গুনাগুন নিয়ম এই আর্টিকেলে লেখা হয়েছে এবং চায়ের ক্ষতিকর দিকটি নিয়েও কথা বলা হয়েছে।তাই আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।আশা করছি এটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকাঃ প্রতিদিন চা খেলে কি হয় এবং চায়ের উপকারিতা ও অপকারিতা
তো আমাদের মধ্যে যারা চা প্রেমি রয়েছেন তাদের জন্য। এই কথাটি হচ্ছে যে অতিরিক্ত কোন জিনিসই ভালো নয় এখন আমরা যদি অতিরিক্ত চা পান করি তাহলে আমাদের শরীরের ক্ষতি করবে এতে। এবং আমরা যদি চা খাওয়ার নিয়ম মেনে পান করি তাহলে এটি আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী আমরা নিচের আলোকে রং চা খেলে কি হয় দুধ চা খেলে কি হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো এবং আমরা আরো জানবো চা খেলে গ্যাস্ট্রিক কি হয় প্রতিদিন দু চা খেলে কি হয় সকল বিষয়ে তথ্য জানবো তাহলে চলুন নিচের আর্টিকেলটি পড়া যাক ।
চা খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা চা ভালোবেসন । এবং আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের এই দিন শুরু হয় এক কাপ চা দিয়ে । আবার এইটা প্রেমিকদের সারা দিনে কয়েকবার চা খাওয়া হয় ।এবং অনেকে হয়তো খেয়াল করেছেন যে চা খাওয়া কি শুধুই অভ্যাস ? এবং এটা কি কখনো খেয়াল করেছেন চা খেলে কি কোন শরীরের উপকার হবে ।
এবং আমাদের মধ্যে অনেকেরই ভুল ধারণা আছে চা খেলে কোন উপকারে আসবে না । এখন আপনি যদি নিয়ম মেনে চা পান করেন।
অর্থাৎ পরিমাণ মতো চা পান করেন। তাহলে এটা আপনার উপকারে আসবে । ক্লান্তি দূর করার জন্য এক কাপ চায়ের তুলনা হয় না। তাহলে চলুন নিচের আলোকে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি
- এই প্রতিদিন এক কাপ চা খাওয়ার ফলে । আমাদের ক্যান্সারের মতন বড় রোগ থেকে বাঁচাতে পারে । বিশেষজ্ঞদের মতে গ্রীন টি তে রয়েছে ভিটামিন সি এ ও ই ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম ও খনিজ পদার্থ। যেটি আমাদের সোহেলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আপনি যদি নিয়মিত গ্রিন টি খান তাহলে আপনার ক্যান্সারের মতন ঝুঁকি থেকেও বাঁচাতে পারে ।
- এবং এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত গ্রিন টি খাওয়ার ফলে শরীরের ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি হতে দেয় না ।এছাড়াও শরীর এবং স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এই চা রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস,ক্যাটেচিন,পলিফেনলস।
- এবং এই পলিফেনলস চায়ের উপস্থিত রয়েছে ২৫% যেটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এবং এই ক্যাটেচিন ও পলিফেনলস এর কাজ হচ্ছে আমাদের শরীরে যে ফ্রী মেডিকেল স্টোরি হয় সেটি বাধা দেওয়া ।এবং এটি আমাদের শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচায়। যেটি আমাদের ক্যান্সারের মতন বড় রোগ থেকেও বাঁচাতে পারে ।
- এবং আপনার শরীরে যদি কোথাও আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে থাকে তাহলে সে ব্যাথা ভোলার জন্য মধু এবং চা একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন এটি করলে আপনার সেই কাঙ্ক্ষিত স্থানের ব্যাথাটি অনেক আংশিক দ্রুত কমে যাবে। এবং ক্ষতস্থানের ফোলা ভাব কমে যাবে।
- এবং আমাদের সারাদিন যে পরিশ্রম করা লাগে এবং আপনি এক কাপ চা পান করেন তাহলে আপনার শরীর এবং মন চাঙ্গা হয়ে যাবে ।
- আর যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটি আমাদের মস্তিষ্কের রক্ত অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে থাকে। এবং আমাদের নার্ভাস শান্ত হয়। এবং আপনি যদি নিয়মিত চা পান করেন তাহলে শারীরিক ও মানসিক শান্তি অনেকখানে কাটে উঠা যাবে।
- এবং চা তে আরো রয়েছে ক্যাফেইন ন যেটির ভালো দিকেও রয়েছে আবার মন্দ থেকে রয়েছে যেমন এটি যদি আপনি বেশি পান করেন তাহলে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত এবং হজম শক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর ভালো দিকটি হচ্ছে যে এটি হৃদপিণ্ড এবং সাহায্য করে থাকে।
- এবং আপনি যদি নিয়মিত চা পান করেন তাহলে আপনার হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট থেকে অনেকখানি উপকার পাবেন । এর কারণ হচ্ছে তাই রয়েছে ৭% এর মতন থিওফাইলিন এবং তার সঙ্গে রয়েছে থিওব্রোমিন।
রং চা খেলে কি হয়
আমাদের মধ্যে অনেকের রয়েছেন যারা চা ভালবাসেন। এই রং চাঁ কে আমরা অনেকেই আবার লাল চা বলেও ডেকে থাকি । এই পানীয় এর আছে নানা গুণ । এবং একে ইংরেজিতে ব্ল্যাক টি বলে উঠে থাকে। চা খাওয়ার পর শরীর চাঙ্গা এবং মন প্রফুল্ল হয়। এই চা খাওয়ার পর মন এবং শরীর প্রফুল্ল এবং আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করে থাকে ।
তার কারণ হচ্ছে রং চায়ের রয়েছে । প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়াম এর পাশাপাশি রং চাইয়ে রয়েছে থিয়োফিলাইন যেটি আমাদের শরীরের স্বাভাবিকভাবে চাঙ্গা করতে দারুণ কার্যকর।এবং এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
আর এই রং চা আমাদের হাটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবং এই লাল চা খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক অংশেই কমে যায়। এই হৃদরোগের সমস্যা থেকে বাঁচানোর পর এখন রং চা আমাদের বাঁচাতে পারে ক্যান্সারের মতন মরণব্যাধি রোগ থেকেও । কারণ এই পানীয়তে রয়েছে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ এবং আরো নানান উপাদান যেমনঃকলোরেকটাল,ব্লাডার,ওরাল,প্রস্টেট,লাং এর পাশাপাশি রয়েছে। ওভারিয়ান টা আমাদের ক্যান্সারের মতন মরণব্যাধি রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে ।
এবং এর পাশাপাশি আমাদের ম্যালিগনেন্ট টিউমারের বৃদ্ধি আটকাতেও সাহায্য করে থাকে এই লাল চা । এবং শুধু ক্যান্সার ই নয় আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে এই লাল চা এবং এর পাশাপাশি লাল চায়ে রয়েছে টেনিস নামক একটি উপাদান যেটি আমাদের শরীরের ক্ষতিকর ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচায়।
এবং প্রতিদিন লাল চা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে । আমরা যে টেনিস নামক উপাদানটির নাম শুনেছি এই উপাদানটি আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার হাত থেকে আমাদের বাঁচায় ।
ইন্টেস্টিনাল রোগ হওয়ার থেকে আমাদের পাছায়। এবং আমাদের টেনশন মুক্ত করে এই লাল চা কারণ লালচায় রয়েছে অ্যামাইনো এসিড যেটি আমাদের কমাতে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। এইগুলোর পাশাপাশি আমাদের উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস ওজন নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা পালন করে থাকে এই লাল চা।
লিকার চা খেলে কি হয়
আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি যে রং চা খেলে কি কি উপকার হয় সে বিষয় সম্বন্ধে। এখন আমরা জানবো যে লিকার চা খেলে কি ক্ষতি হয় তা সম্বন্ধে তো লিকার খাবার ফলে যা হয় এটি প্রায় রং চায়ের সাথে মিল যেমন প্রতিদিন এক কাপ চা খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের মতন লোক প্রতিরোধ করা সম্ভব । এবং হৃদরোগের মতন ঝুঁকিও কমিয়ে থাকে এ লিকার চা খাওয়ার ফলে বর্তমান সময়ে কম বয়সে অনেকেরই হাটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে ।
এবং এই লিকার চেয়ে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ।যেটি শরীরের জন্য অন্তত উপকারী বিশেষজ্ঞদের মতে এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে পারে । এবং এই এন্টিঅক্সিডেন্ট এর কারণে আমাদের শরীরের কোষের ক্ষতি রোধ করে। লিকার চায়ে রয়েছে কিছু ফ্ল্যাভানয়েডস।
যেটি আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল এর পাশাপাশি ট্রাইগ্লিসারইডসের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।যেটি আমাদের হৃদরোগের আশঙ্কা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এবং আমাদের মধ্যে যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে।
তাদের জন্য এই লেখাটা বেশ উপকার এর কারণ হলো লিকার চায়ের ক কোষ রয়েছে পুনরো গুণ বেশি ইনসুলিন নিষেকৃত করে তার পাশাপাশি রক্তের গ্লুকোজের এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে থাকেএই লিকার চা ।
লিকার চা খেলে কি ক্ষতি হয়
এখন আমরা কথা বলব লেখার অপকারিতা বা লেখার চা খেলে কি ক্ষতি হয় সে বিষয়টি নিয়ে সেই বিষয়টি নিয়ে সোজা কথাই বলতে পরিমাণের চেয়ে বেশি লিকার চা খাওয়া উচিত নয় কারণ পরিমাণের চেয়ে কোন কিছুই ভালো নয়। আর বিশেষজ্ঞদের মতে অল্প পরিমাণে চা পান করা উপকারী কিন্তু পরিমাণের চেয়ে বেশি চা পান করলে আবার ক্ষতি রয়েছে ।
এখন বিশেষজ্ঞদের মতে আপনি যদি দিনে চার কাপ লিকার চা বা ব্ল্যাক টি খান তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় এটি করতে পারবেন ।এখন আপনি যদি এটা অতীত পরিমাণে পান করে থাকেন এবং ঘন্টার পর ঘন্টা চা পান করেন। তাহলে এর অপরদিকে রয়েছে যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায় অতিরিক্ত চাপান করলে আপনার দাতে কালো ছোপ পড়ে যেতে পারে।
এটি মূলত হলদে টাইপের দাগ হয়ে থাকে ।এটি আমাদের দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে। এবং শরীর কষা হয়ে যেতে পারে। এতে করে শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। যেমন বমি, মাথা ,ব্যথা,গণ্ডগোল ,হার্টরেটে কার্ডিওভাসকুলার,গণ্ডগোল,কার্ডিওভাসকুলারএছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের মতন সমস্যা হতে পারে। এবং রয়েছে ট্যানিন যেটি লিকার চায়ের রং বাদামের রং করে ফেলে ।
এবং এই কারণেই লিকার চায়ের স্বাদ কষা এবং তিতো হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ট্যানিন কি এই ট্যানিন উদ্ভিদের নাইট্রোজেন বিহীন রেচন পদার্থ এটি সোজা কথায় গাছের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য ভালো। এই ট্যানিন গুলি আপনার পেটের টিস্যুগুলিকে ক্ষতি করতে পারে। এর কারণে আপনার পেটের ব্যথার মতন সমস্যা হতে পারে।
কিন্তু আপনি যদি দিনে দশটি করে লিকার চা পান করেন ।তাহলে এটি আপনার শরীরের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতি করতে পারে । যেটির কারণে আপনার শরীর কষা হয়ে যাবে। এবং এর পাশাপাশি অতিরিক্ত চা পান করার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে যেতে পারে। আর বেশি চা পান করার ফলে আর্থ্রাইটিসের মতন ঝুঁকি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এবং আপনি যদি লিকার অধিক পরিমাণে খান। তাহলে আয়রন শোষণ করে অ্যামেনিয়া হতে পারে ।ও খালি পেটে এই লিকার চা পান করলে এসিড হতে পারে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত চা পান করার ফলে হজম শক্তির ওপর আঘাত ঘটে যেতে পারে। তাই সুস্থ সবল থাকতে নিয়ম মেনে চা পান করুন।
প্রতিদিন দুধ চা খেলে কি হয়
চা খেতে আমরা প্রায় সকলেই ভালবেসে থাকি, অনেকেরই আবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই চা খেতে পছন্দ করেন। আমরা ঘুম থেকে ওঠার পর সকালেই চা খেতে ভালোবাসি। আমাদের হয়তো অনেকেরই এবং দিনে একাধিকবার চা পান করা হয়। সেটি হোক বাড়িতে কিংবা অফিসে আবার পাড়ার আড্ডায় অনেকেরই আবার দিনে কয়েকবার দুধ চা খেয়ে থাকেন ।
কিন্তু আপনি কি কখনো এটি ভেবে দেখেছেন। যে দুধ চা খেলে কি কি সমস্যা দিতে। পারে আপনার শরীরের জন্য। বা আপনার সাধের জন্য চায়ের সাথে দুধ মিশালে অ্যাসিডিক পরিণত হয়। এবং তার সাথে যদি আপনি চিনি মিশান। তাহলে এটির ক্ষতি আরও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে ছয় কাপ দুধ চা পান করলে ।
সেটি বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। আমরা নিচের আলোকে প্রতিদিন দুধ চা খেলে কি হয় ।সেটি আমরা নিজের আলোকে শো বিস্তারিত জানব।
- এখন হচ্ছে কি আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন ।যারা দুধ চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এই কাজটি যারা করেন তারা হয়তো ভেবে থাকেন। যে এটি করলে চা স্বাদের পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপহার কিন্তু তা নয় ।এটি করার ফলে ।আপনার পেটে পায় ও জমতে পারে সেটি থেকে পেট ব্যথা হতে পারে।
- এর পাশাপাশি আপনি যদি দুধ চা খালি পেটে খেয়ে থাকেন। বা ঘুম থেকে উঠে দুধ চা খেতে পছন্দ করেন। তাহলে হজম শক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- এবং অতিরিক্ত দুধ চা পান করার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যাদের এই সমস্যাটি রয়েছেন তারা এই চা থেকে দূরে থাকতে পারেন।
- অতিরিক্ত দুধের সাথে চিনি খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তের শতকরা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই আপনি যদি প্রতিদিন দুধ চা খেতে ভালোবাসেন তাহলে আপনার কতটা পরিমাণ চিনি এবং দুধ আর চা দরকার পড়বে দেখে নিতে হবে যে আপনি সেটিতে কতটুকু চিনি মেশাচ্ছেন সেটি ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
- এবং এই দুধ চা দীর্ঘদিন ধরে পান করে থাকলে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং খাবার থেকে যে পুষ্টিগুণ উপাদান গ্রহণ করার ক্ষমতা রয়েছে সেটিও হারতে পারে।
- অতিরিক্ত দুধ চা পান করার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যর পতন সমস্যা হতে পারে
- এবং আমাদের মধ্যে যাদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে মানে তাদের রক্তচাপ ওঠানামা করে তাদের জন্য এই দুধ চা পান করা মোটেই উচিত নয় কারণ এতে করে এই সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। এবং বিশেষজ্ঞদের মতে শুধু চা বেশি উপকারী বলে থাকেন দুধ চিনি মেশানো চায়ের স্বাদ অবশ্যই বেশি হয়ে থাকে কিন্তু হালকা লাল চায়ের কথা বেশি বলে থাকেন ।
অতিরিক্ত চা পানের অপকারিতা
তো প্রিয় পাঠক গন অতিরিক্ত চা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।এখন আপনি যদি চান নিয়মিত পান করতে ভালোবাসেন। সে ক্ষেত্রে আপনি যা নিয়ম পরিমাণ মতো চা পান করতে পারেন। আমাদের শরীরের জন্য প্রত্যেকদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাবার বা একটি নির্দিষ্ট খাবার পরিমাণ থাকে।
এখন যদি তার থেকে আমরা বেশি খেয়ে ফেলি তাহলে শরীরে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এবং আপনি যদি পরিমাণ ইচ্ছে অতিরিক্ত চা খেয়ে ফেলেন। তাহলে আপনার পেট খারাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।চা খাওয়ার ফলে মাথা আবার অতিরিক্ত চা খেলে মাথা ঘুরতে পারে ।
এবং বমি হতে পারে। এবং এর পাশাপাশি শরীর কষা হয়ে যেতে পারে । এবং এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত চাপান করার ফলে কিছু সংখ্যক অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা হয় না । যেমন গর্ভনিরোধক ওষুধের আর পাশাপাশি কেমোথেরাপের মতন ওষুধের ও ক্লোজাপাইন এগুলো অনেক সময় কাজ করতে নাও পারে ।
অতিরিক্ত চা খাওয়ার কারণে। আমরা এই চা অতিরিক্ত খাওয়া ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে বা অপকারিতা হতে পারে তা নিয়ে নিচের আলোকে আরো বিস্তারিত জানব
- বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে অতিরিক্ত চা পান করা ফলে। আমাদের বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে কারণ চায়ে থাকা ক্যাফেইন এর কারণে । কারণ এই টাইপের এসিড তৈরি করে আর এর ফলে আমাদের ঝালাপোড়া করতে পারে । এবং অতিরিক্ত চা খাওয়ার ফলে পাকস্থলের এসিড গুলো দিকে খাদ্যনালের দিকে অগ্রসর হতে পারে ।
- এবং চায়ের মধ্যে আরও রয়েছে থিওফাইলিন রাসায়নিক এটি আমাদের পরিপাকের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বাধা দেয় এইজন্য যা বেশি খাওয়া উচিত নয়। এবং চা বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে এর পাশাপাশি পদজমা হতে পারে।
- ঘুমের ব্যাঘাত বা অনিদ্রার ঘটতে পারে অতিরিক্ত চা পান করার ফলে এতে করে মন খিটখিটে হয় কারণ চায়ের মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন যেটি ঘুম হতে দেয় না । আর এই ক্যাফেইন মেলাটোনিন হরমোনে প্রভাব ফেলে আমাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
- এবং মনে অস্থিরতা বৃদ্ধি করে থাকে। কারণ অতিরিক্ত চাপানোর ফলে মানসিক চাপ বাড়তে পারে অতিরিক্ত চা পান করার ফলে। এর কারণ হচ্ছে ক্যাফেইন যেটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে মনে অস্থিরতার মতন সমস্যা দেখা দেয়।
- আর ক্ষুধা নষ্ট বা রুচি হারিয়ে ফেলে অতিরিক্ত চা খাওয়ার ফলে আপনি যদি দিনে অধিক চা পান করে থাকেন। তাহলে আপনার ক্ষুধা নষ্ট হয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- এবং দাতে কালো ছোপ পড়তে পারে। অতিরিক্ত চা পান করার ফলে দাঁত নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং তাতে কালো রঙের চোখ পড়তে পারে।
শেষ কথা: প্রতিদিন চা খেলে কি হয় এবং উপকারিতা ও অপকারিতা
তো প্রিয় পাঠক এতক্ষণে আপনি জেনে গিয়েছেন প্রতিদিন চা খেলে কি হয়। আর চা খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্বন্ধে। তো পাঠক অতিরিক্ত চা পান করা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং আপনি যদি এটা পরিমাণ মতো পান করেন।
তাহলে এটি আবার শরীরের জন্য উপকার। হয় তাই প্রতিটি খাবার জিনিসই পরিমাণ মতন খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকবে। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাকে যদি ভালো লাগে।
তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন। যাতে করে তারাও এই বিষয়গুলো সাবধান হতে পারে। এবং আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ
কুইক ফাইন লাইন এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url