ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে এর সম্পর্কে আপনার ক্লিয়ার ভাবে ধারণা চলে আসবে তো চলুন আর বেশি দেরি না করে বিস্তারিত জানা যাক।

ডেঙ্গু রোগের কারণ। ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত জ্বর যা ডেঙ্গু জ্বর ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি হয়ে থাকে। আবার অনেকেই এই ডেঙ্গু জ্বরের কারণ কি এ সম্পর্কে জানতে চান আবার অনেকেই আপনারা এই ডেঙ্গু রোগে ভুগছেন।ডেঙ্গু একটি ভাইরাস মশা। স্ত্রী এসিড মশা, এসিড ইজিপ্টাই এর কামড়ানোর মাধ্যমে মানুষের শরীরের মধ্যে এটি ছড়িয়ে যায়।

ডেঙ্গু রোগের কারণ কি এ সম্পর্কে আমরা বলেছি তো আপনার যদি ডেঙ্গু রোগের কারণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে ডেঙ্গু রোগের কারণ কি এই সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ডেঙ্গু হওয়ার কারণ কি তা হলোঃ এগুলো ডেঙ্গু মশা সাধারণত সবচেয়ে বেশি শহর এলাকাতে পাওয়া যায়, কেউ ডাবের খুলে ফেলে দিলে ডাবের খলির ভিতরে পানি এবং আবর্জনা জমে থাকলে সেখান থেকে ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়, পুরনো টায়ারের ভিতরে ময়লা আবর্জনা জমলে ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়, ফুলের পাত্রে এবং বৃষ্টি হলে রাস্তাঘাটে বৃষ্টির পানি জমে থাকাই ডেঙ্গু মশার জন্ম হয় এবং সেটি থেকে আস্তে আস্তে করে বংশ বৃদ্ধি করে।

এবং যখন একটি আক্রান্ত ব্যক্তিকে মশা কামড়াই তখন মশার মধ্যে তার ভাইরাসটি রক্তের মাধ্যমে প্রবেশ করে এবং অন্য ব্যক্তিকে পরিবর্তে কামড়ালে পোষকের মধ্যে ছেড়ে দেই। এবং এই ডেঙ্গু রোগের জন্য ভ্যাকসিন টিকা পাওয়া যায়। আশা করি ডেঙ্গু রোগের কারণ কি এই সম্পর্কে আপনারা ধারণা নিতে পেরেছেন।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ। সাধারণত বর্ষা এলেই এই ডেঙ্গু মশার বংশবৃদ্ধি হয়। এসিড মশা পানি তে ডিম পাড়ে এবং সেখান থেকে ডেঙ্গু মশার বংশবৃদ্ধি হয়। তখন ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার আশঙ্কা ও অনেক থাকে। এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরের হিট কিংবা তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিংবা ১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে।

এবং তার চেয়েও যদি বেশি জ্বর হয় তাহলে মৃত্যুও হতে পারে। এবং এই জ্বর হল একটি মশা বাহিত ভাইরাস যা প্রথমবার কোন ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তার কোন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দেয় না। আপনারা অনেকেই এই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে কি বিস্তারিত জানতে চান। আমাদের এই পোস্টে বলে দিয়েছি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি কি তার সম্পর্কে।

আপনারা আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে জানতে পারবেন। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি কি তা হলোঃ উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বর আসা, তীব্র মাথা ব্যথা ও যন্ত্রণা করা, বমি বমি ভাব চাপা, ত্বকের বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি হওয়া, চোখের মনিতে ব্যথা অনুভব করা, মাথা ঘুরা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়া, নাক কিংবা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, প্রসাবে রক্ত পড়া, বমি করা সময় রক্ত পড়া ইত্যাদি।

এগুলো ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আশা করি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি কি তা সম্পর্কে আপনারা ধারণা পেয়ে গেছেন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়। আপনারা অনেকেই আছেন যারা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কিংবা দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে আরো অনেক ভয়াবহ হতে পারে। তাই আপনারা এই ডেঙ্গু রোগের কাছ থেকে সতর্ক থাকুন। ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে জানুন।

আমরা এই পোস্টে ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে বলেছি আপনারা মনোযোগ সহকারে করুন তাহলে জ্বর হলে করণ কি জানতে পারবেন। ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি তা হলোঃ আপনার বাড়ির আশপাশে পানি জমে থাকলে সেখান থেকে ডেঙ্গু মশার বংশবৃদ্ধি হবে।

তাই আপনি সেখানকার পানি ঝাঁটা দিয়ে ঝাড় দিয়ে দিবেন কিংবা সেখানে পানি জমে আছে সেখানে মাটি এনে চাপা দিবেন তাহলে সেখানে পানি জমবে না। এবং আপনার ঘরে যদি পানি কিংবা ময়লা আবর্জনা থাকে সেটি ঝাঁটা দিয়ে ঝাড় দিয়ে দিবেন, এবং ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হওয়ার পর সারা দিনে চার থেকে পাঁচ লিটার পানি পান করুন।

এবং টক জাতীয় ফল খান যেমন জলপাই, আমড়া, লেবু ইত্যাদি টক জাতীয় খাবার খান, এবং আপনার ডেঙ্গু জ্বর ভালো করার জন্য ডাবের পানি ও কুশোরের রস খাবেন, এবং ডেঙ্গু জ্বরের ভ্যাকসিন নিবেন এছাড়া ও মেডিকলে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা করবেন, এবংজ্বরে প্যারাসিটামল ঔষধ সেবন করবেন এছাড়া অন্য কোন ব্যাথা নাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

যেগুলো বললাম এগুলো কথা মেনে চললে আশা করি খুব তাড়াতাড়ি ডেঙ্গু জ্বর ভালো হয়ে যাবে। আশা করি ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি এর সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে। সাধারণত এসিড মশা কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জ্বর হয় না তার সাত থেকে আট দিন পরে অথবা ১ থেকে ২ সপ্তাহ পরে ডেঙ্গু জ্বর হয়। এবং আপনার অনেকেই জানেন না যে ডেঙ্গু জ্বর হলে কতদিন থাকে। সাধারণত ডেঙ্গুজ্বর হলে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর ভালো হয়ে যায়। এবং অনেক মানুষ আবার মৃত্যুর ঝুঁকিতে ও থাকে।

তাই আমাদের সকলকেই ডেঙ্গু রোগের কাছ থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করি ডেঙ্গু জ্বর হলে কতদিন থাকে এ সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে। আপনার অনেকেই জানেন না যে ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে এ নিয়ে আপনারা অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি খাবার খেতে হয় এ নিয়েআপনাদেরকে চিহ্নিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আমরা এই পোস্টে বলেছি ডিঙ্গু জ্বর হলে কি কি খাবার খেতে হয় তা জানতে আপনারা এ সম্পর্কে মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে জানতে পারবেন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি খাবার খেতে হবে তা হলোঃ তরমুজ, পাকা কলা, পেঁপে, ডাব, কুশলের রস, আপেল, কমলা, বেদেনা, তরল খাবার সুজি, খিচুড়ি, পায়েস, দই, মিষ্টি, ডিম, মিষ্টি কুমড়া ও মিষ্টি কুমড়ার বিচি, জলপাই, শাকসবজি, মুরগির মাংস, কাঁচা কলার ঝোল ইত্যাদি। এগুলো খাবার খেলে আপনার শরীরের দুর্বলতা দূর হবে।

এবং এসব খাবার আপনার ডেঙ্গু জ্বর ভালো করতে অনেক সাহায্য করবে। আশা করি ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাবার খেতে হয় এ সম্পর্কে আপনারা ধারণা পেয়ে গেছেন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাওয়া যাবেনা। ডেঙ্গু জ্বর হলে যেসব খাবার খাওয়া যাবে না তা হলোঃ বাইরের কোন ভাজাপোড়া খাবার খাবেন না, লবণ ও চিনি যুক্ত খাবার কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না, অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার খাবেন না ডেঙ্গু রোগীর এগুলো খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। আশা করি ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাবার খাওয়া যাবেনা এ সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

প্রিয় পাঠক আশা করি এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় এবং ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, ডেঙ্গু রোগের কারণ, ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে, ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে, ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাওয়া যাবেনা এর সম্পর্কে।

আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আপনাদেরকে এই ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় এবং ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এর সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক কিছু জানানোর চেষ্টা করেছি। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন।

এবং আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনার বাড়ির আশপাশে যাদের ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে তাদের মাঝে শেয়ার করবেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।